আ’প’ত্তিক’র অ’বস্থা’য় আ’টকে’র পর ৩০ ব’ছরে’র ত’রুণের সঙ্গে ৫৫ ব’ছরে’র না’রীর বি’য়ে

ময়মনসিংহের ঈশ্বরগঞ্জে আপ’ত্তিকর অবস্থায় আট’কের পর ৩০ বছর বয়সী তরুণের স’ঙ্গে ৫৫ বছর বয়সী এক নারীর বিয়ে দেওয়ার ঘটনা ঘটেছে। এতে এলাকায় ব্যাপক চাঞ্চল্যের সৃষ্টি হয়েছে।

সোমবার (৬ সেপ্টেম্বর) বিকেল পাঁচটার দিকে উপজে’লার বড়হিত ইউনিয়নে এই বিয়ে হয়। বড়হিত ইউনিয়নের ৫ নম্বর ইউপি সদস্য খাইরুল ইসলাম এই বিয়ের বি’ষয়টি নিশ্চিত করেন।স্থানীয়দের স’ঙ্গে কথা বলে জানা যায়, গত বৃহস্পতিবার (২ সেপ্টেম্বর) রাতে ঈশ্বরগঞ্জ উপজে’লার বড়হিত ইউনিয়নের এক তরুণের স’ঙ্গে তার দূর সম্পর্কের দাদিকে অন্তর’ঙ্গ অবস্থায় ধরে ফেলেন ওই নারীর ছেলে।

এরপর এলাকার লোকজনকে ডেকে বি’ষয়টি তিনি জানান।পরদিন শুক্রবার (৩ সেপ্টেম্বর) বি’ষয়টি নিয়ে স্থানীয় গণ্যমান্য ব্যক্তিরা সালিশে বসেন। সেখানে ওই তরুণের স’ঙ্গে দাদির বিয়ে দেওয়ার সি’দ্ধান্ত হয়। তবে বিয়ের সি’দ্ধান্ত হওয়ার পরেই তরুণ পালিয়ে যান। এমতাবস্থায় এলাকার গণ্যমান্য ব্যক্তিরা ওই নারীকে তরুণের বাড়িতে তুলে দিয়ে আসেন।

এদিকে, একদিন পালিয়ে থাকার পর রোববার (৫ সেপ্টেম্বর) ওই তরুণ বাড়িতে ফিরে আসেন। পরে ওইদিন আবারও স্থানীয় গণ্যমান্যরা সালিশে বসে সোমবার (৬ সেপ্টেম্বর) দাদির স’ঙ্গে ওই তরুণের বিয়ের সি’দ্ধান্ত নেন। ওই সি’দ্ধান্তের ভিত্তিতে গতকাল বিকেলে তাদের বিয়ে হয়। ওই তরুণের পরিবারের অ’ভিযোগ, এলাকার ইউপি সদস্য খাইরুল ইসলামসহ গণ্যমান্য ব্যক্তিরা সালিশের মাধ্যমে জোর করে এই বিয়ে দেন। ওই নারী এই বিয়েতে রাজি ছিলেন না।

এ বি’ষয়ে ওই তরুণের বাবা বলেন, ঘটনার পর তিনটা সালিশ হয়েছে। সালিশে মাতব্বরদের পা পর্যন্ত ধরেছি। তারপরেও আমা’র অবিবাহিত ছেলেকে ৫৫ বছর বয়সী ওই নারীর স’ঙ্গে পাঁচ লাখ টাকা কাবিনে বিয়ে দিয়েছে। ওই তরুণের মা বলেন, সালিশে আমি প্রত্যেকটা মানুষের পায়ে ধরে মাফ চাইছি। কিন্তু কেউ আমা’র কথা শোনেনি। ওই নারীও আমা’র ছেলেকে বিয়ে করতে রাজি ছিল না, তারপরেও জোর করে বিয়ে দিয়েছে। আমি এর বিচার চাই।

এদিকে, ওই তরুণের পরিবারের অ’ভিযোগের বি’ষয়ে জানতে ইউপি সদস্য খাইরুল মিয়াকে ম’ঙ্গলবার (৭ সেপ্টেম্বর) সকালে আবার একাধিকবার কল করলেও তিনি ফোন রিসিভ করেননি। এ বি’ষয়ে বড়হিত ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যান শাহ জালাল বলেন, বি’ষয়টি আমা’র জানা নেই।

বিয়ে হয়েছে কি-না তাও বলতে পারব না। আমি বেশ কয়েকদিন ধরে অসুস্থ। ঈশ্বরগঞ্জ থানার ভারপ্রা’প্ত কর্মকর্তা (ওসি) আব্দুল কাদির মিয়া বলেন, বি’ষয়টি আমা’র জানা নেই। তাছাড়া থানায় কেউ এই বি’ষয়টি অবগত করেনি। সুত্র:bd24live.com

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *