সমাজ আজও মেয়েদের বোঝা ভাবে তারওপর আবার যদি মেয়ের শরীরে কোনো খামতি থাকে তাহলে ছোট থেকে তাকে কি ভয়ংকর পরিমান বঞ্চনার শিকার ‘হতে হয় তা অনেকেরই অজানা। সমস্ত বঞ্চনা প্রতিকূলতা কাটিয়ে অনেকেই জীবনে প্রতিষ্ঠিত হয়ে সমাজের বুকে দৃষ্টান্ত তৈরি করেছে, আরতি ডোগরা তাদেরই একজন।
আরতি, উত্তরা খণ্ডের দেরাদুনের বাসিন্দা। আরতির বাবার রাজেন্দ্র ডোগরা সেনার একজন অফিসার আর মা কুমকুম ডোগরা একজন স্কুল শিক্ষিকা।যে কারণে আরতি বঞ্চনার শি’কার তা হলো ওনার উচ্চতা মাত্র তিন ফুট ছয় ইঞ্চি।
যদিও আরতির জন্মের সময়েই ডা’ক্তাররা বলে দিয়েছিলেন যে, সে বাচ্চাদের সাথে সাধারণত ভাবে স্কুলে পড়াশুনা করতে পারবে না তবুও তার বাবা মা আরতিকে সাধারনদের স্কুলেই ভর্তি করেন এবং সুশিক্ষা দেন।
আরতি দেরাদুনের বেলহা’ম গার্লস স্কুলে পড়াশোনা শেষ করে দিল্লী বিশ্ববিদ্যালয়ের লেডি শ্রীরাম কলেজ থেকে ইকোনমিক্স নিয়ে গ্রাজুয়েশন করেন। এরপর তিনি UPSC Indian Administrative Service এর প্রস্তুতি নেওয়া শুরু করেন এবং এখন তিনি রাজস্থান ক্যাডারের IAS অফিসার।
শারীরিক ভাবে ত্রুটি থাকলেও নিজের চেষ্টায় আরতি দেবী সমাজের মুখ বন্ধ করে দিয়েছে তার যোগ্যতা দিয়ে।
আরতি দেবী পন করেছেন, ” যেই বঞ্চ’না ছোট বেলায় আমি সহ্য করেছি সেই ব’ঞ্চনার শি’কার কাউকে ‘’হতে দেব না”। আরতি দেবী তার যোগ্যতায় এখন মহিলা IAS আধিকারিকদের রোল মডেল এমনকি প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্রমোদীর ও খুব প্রিয়।