গ’র্ভধারন বিষয়টি আসলে একটি নিখুঁত হিসাবের সঙ্গে জড়িত। যারা এই হিসাব বোঝেন তাদের গ’র্ভধারন রোধ করতে অন্য কোন পদ্ধতি অবলম্বন করতে হয়না। চিকিৎসা বিজ্ঞান বলে পিরিয়ডের বা মাসিকের ৭ দিন পর্যন্ত গ’র্ভধারনের কোন সম্ভাবনা থাকেনা। পিরিয়ডের ৮ দিন থেকে ১৭ দিনের মধ্যে হল গ’র্ভধারনের মোক্ষম সময়। আবার ১৮ দিন থেকে পিরিয়ড হওয়া পর্যন্ত গর্ভধারণ করা সম্ভব নয়।
৮ দিন থেকে ১৭ দিনের মধ্যে সহবাসে কোন সাবধানতা অবলম্বন না করলেই গ’র্ভধারন অনিবার্য। অর্থাৎ পিরিয়ডের আগের ও পরের ৭ দিন নিরাপদ। এই সময়ে গর্ভধারণ হয় না। মাঝামাঝি দিনগুলিতে গ’র্ভধারণের সম্ভবনা অনেক বেশী।
সবাই নিজের মতই পরিবার পরিকল্পনা করতে চায়। তারা যখন নিজেদের জীবনে একটি নতুন প্রান আনতে চান তখনই আনা উচিৎ। পরিকল্পনা মাফিক কিছু না হলে তখন পুরো ব্যপারটা ঘেঁটে যায়। নতুন অথিতির আসার আনন্দের জায়গায় এসে উপস্থিত হয় হতাশা।
যে কোন ধরনের জন্মনিরোধক পদ্ধতিই শরীরের জন্য ক্ষতিকারক। তাই এইগুলি জানা থাকলে আপনাদের সুবিধা হবে। জানবেন কখন আপনার গ’র্ভবতী হয়ার ঝুঁকি বেশি আছে। আর জানার পর আপনি ক্ষতিকারক জন্মনিয়ন্ত্রন পদ্ধতি অবলম্বন না করে প্রাকৃতিক উপায়ে জন্ম নিয়ন্ত্রন করবেন।
আরো কিছু লক্ষন আছে যা আপনার জানা থাকলে আপনি নিজেই বুঝতে পারবেন আপনার গর্ভবতী হওয়ার সম্ভাবনা কতটা। শরীরের তাপমাত্রা, স্রাবের ঘনত্ব, স্রাবের প্রকৃতির ওপর নজর রাখলেই আপনি বুঝতে পারবেন কখন আপনার গ’র্ভধারনের সময়। সেই বুঝে আপনি সহবাস করুন, কোন জন্মনিরোধক ছাড়াই।
আপনি যদি এই নিয়মগুলি অনুসরন করে সহবাস করেন তাহলে আপনার অনৈচ্ছিক গর্ভধারন ৯০ শতাংশ কার্যকর হবেনা। আপনার পিরিয়ডের আগের বা পরের দিন গুনে হিসেব করার থেকে আরো সহজ পদ্ধতি হল আপনার নিজের শরীর পর্যবেক্ষন করা।
দেখুন আপনার শরীরের তাপমাত্রা অন্যান্য সময়ের থেকে বেশি আছে কিনা অথবা আপনার সাদা স্রাব হচ্ছে কিনা, সেই স্রাবের ঘনত্ব কেমন। যদি দেখেন ঘন স্রাব হচ্ছে বা শরীরের তাপমাত্রা নিজে থেকেই বৃদ্ধি পাচ্ছে তাহলে বুঝবেন আপনার গর্ভবতী হওয়ার সময় এটি।
যদি আপনি তখন গর্ভবতী না হতে চান তাহলে বিরত থাকুন সহবাস থেকে। এইভাবে যদি আপনি আপনার শারীরিক লক্ষণগুলি ৪-৬ মাসিক চক্র ধরে খেয়াল করেন, তাহলে আপনি নিজেই বুঝতে পারবেন কোন সময় সহবাস করলে আপনার গর্ভবতী হওয়ার ঝুঁকি সবচেয়ে বেশি এবং কোন সময় ঝুঁকি কম।
বিছানায় ঝড় তুলতে হলে সপ্তাহে তিনদিন এই চারটি খাবার খান…
শরীরে পুষ্টির চাহিদা পূরনের জন্য আমাদের বিভিন্ন রকম খাবার খেতে হয়। পুষ্টি আমাদের সকলের শ”রীরেই দরকার। সারাদিন কাজ করার জন্য, পড়াশোনা করার জন্য, যে কোন কাজে পুষ্টি দরকার। এমনকি সে”ক্সের জন্যও শরীরে এনার্জি দরকার হয়। এমন কিছু খাবার আছে যা শরীরের সে”ক্স বাড়াতে সক্ষম। সে”ক্স ঠিক রাখতে শরীরের এন্ড্রোক্রাইন সিস্টেম ঠিক রাখা দরকার।
আর শরীরে পর্যাপ্ত পরিমানে ভিটামিন এবং মিনারেলস থাকলে সে”ক্সের ঘাটতি হয়না। এন্ড্রোক্রাইন সিস্টেম শরীরের ইস্ট্রোজেন এবং টেস্টোস্টেরনের মাত্রা বজায় রাখে। এমনই কিছু খাদ্য আপনার যৌ”ন ইচ্ছা নিয়ন্ত্রন করে। আপনার পারফরমেন্স নিয়ন্ত্রন করে। তাহলে জেনে নিন খাদ্য গুলি কি কি.
১। দুধ ঃ দুধ একটি এমন পানীয় যাতে সমস্ত রকম পুষ্টিগুণ রয়েছে, সমস্ত প্রানীজ ফ্যাট আছে। অনেকে ফ্যাট জাতীয় খাবার খেতে পছন্দ করেনা। কিন্তু দুধে আছে এমন ফ্যাট যা শরীরে মেদ না বাড়িয়ে সমস্ত পুষ্টির ঘাটতি পূরন করে। আপনি যদি শরীরের সে”ক্স হ”রমো”ন বাড়াতে চান তাহলে রোজ আপনার খাদ্য তালিকায় রাখুন দুধ।
২। ঝিনুক ঃ আপনি যদি আপনার যৌ”ন জীবন ভালোভাবে উপভোগ করতে চান তাহলে এবার থেকে রোজ খাওয়া শুরু করুন ঝিনুক। ঝি”নুকে থাকে প্রচুর পরিমানে জিঙ্ক। জিঙ্ক শুক্রাণু বাড়াতে সাহায্য করে। তার সঙ্গে যৌ”ন ইচ্ছা বৃদ্ধি করে। ঝিনুক কাঁচা খান অথবা রান্না করে খান, আপনি যৌ”ন জীবনে উপকার পাবেনই।
৩। ডিম ঃ ডিম সিদ্ধ হোক বা ভাজা যেভাবেই খান তাতে পুষ্টি পাবেন। ডিমে আছে প্রচুর পরিমানে ভিটামিন বি, ভিটামিন বি ৬। যা শরীরের হর”মোনের তারতম্য বজায় রাখে, মানসিক চাপ কমায়। আপনি নিজের স্বাস্থ্যের উন্নতি চাইলে রোজ সকালে খান একটি করে ডিম। আপনার শ”রী”র শক্তিশালী হবে এবং যৌ”ন ক্ষমতা বৃদ্ধি পাবে।
৪। বাদাম ঃ চীনা বাদাম, কাজু বাদাম, পেস্তা ইত্যাদি খাবারে আছে প্রচুর পরিমানে মনোস্যাচুরেটেড ফ্যাট। এগুলি শ”রীরের জন্য প্রয়োজনীয় কো”লেস্টেরল তৈরী করে। সে”ক্স হরমোন কাজ করার জন্য কো”লেস্টেরল খুব দরকার। তাই প্রতিদিন চেষ্টা করুন অল্প বাদাম খাওয়া। এতে আপনার যৌ”ন স্বাস্থ্য ভালো থাকবে।
৫। পালং শাক ঃ পালং শাকে আছে ম্যাগনেসিয়াম। ম্যাগনেসিয়াম শরীরের র’ক্ত চলাচল সঠিক ভাবে করতে সাহায্য করে। গবেষকরা বলেন শরীরে ঠিকমত র’ক্ত চলাচল করলে যৌ”ন উদ্দীপনাও বাড়ে। পালং শাকের সঙ্গে আরো কিছু সবজি খেতে পারেন। এর ফলে আপনার স্বাস্থ্য উন্নতি হয়, সাথে যৌ”ন স্বাস্থ্যও উন্নত হয়।