৫ বছরে একবার খান- এ ও’ষুধ (medicine) পাল্লা দিতে প্রফেসর শঙ্কুর ‘মিরাকিউরলে’র সঙ্গেও! আর এর জন্য স্বর্ণপর্ণীর খোঁজেও যেতে হবে না আপনাকে। কারণ এর মূল উপকরণটি মিলবে আপনার রান্নাঘরেই। হ্যাঁ, জানেন কি আপনার সবজির ঝুড়িতেই অনাদরে পড়ে আছে সেই সর্বরোগনাশক ‘বটিকা ইন্ডিকা’? এ এমন একটি ও’ষুধ (medicine) যা পাঁচ বছরে মাত্র একবার খেলেই যথেষ্ট। এই ওষুধ (medicine) বা বলা যেতে পারে এই বিশেষ মিশ্রণ মাত্র একবার খান আর পাঁচ বছরের জন্য অসু’খ-বিসু’খের হাত থেকে নিশ্চিন্ত হয়ে যান। ভাবছেন,
এ আবার এমন কি, যা একবার খেলে পাঁচ বছর কোনও অসু’খ হবে না? আজ নয়, চমত্কার এই ওষুধের (medicine) আবিস্কার পাঁচ হাজার বছর আগে।এক তিব্বতি সন্ন্যাসী হাত ধরে এই মিশ্রণের জ’ন্ম। এই মিশ্রণের প্রধান উপকরণ হল রসুন। সারা বিশ্বেই রসুনকে এক চমত্কারী খাবার হিসেবে মনে করা হয়। উচ্চ র’ক্তচা’প, হাই কোলেস্টরল, হার্ট অ্যা’টাকের মতো একা’ধিক অসু’খ নিয়ন্ত্রণ রাখার কাজ করে রসুন। জেনে নিন কী ভাবে বানাবেন এই ওষু’ধ (medicine) ।
৩৫০ গ্রাম রসুনের সঙ্গে ২০০ এমএল অ্যালকোহলমেশাবেন। রাম হলে ভালো হয়। রাম না হলে যে অ্যালকোহল-ই মেশান, মনে রাখবেন যেন তাতে মিথানল বা বেনজালকোনিয়াম ক্লোরাইড না থাকে। প্রথমে খো’সা ছা’ড়িয়ে রসুন চটকে নিন। এ রপর এতে অ্যালকোহল মেশান। স্টেরিলাইজ করা কাঁচের বোতলে ১০ দিন রেখে দিন এই মিশ্রণ। ১০ দিন পর বোতল থেকে মিশ্রণ অন্য কোথাও ঢেলে আবার ওইবোতলে রেখে দিন। আরও দিন দুয়েকের জন্য মিশ্রণ ফ্রিজে ভরে রাখুন।
ব্যস আপনার ম্যাজিক ওষুধ (medicine) তৈরি। এবার ১২ দিন ধরে ব্রেকফাস্টের আগে এই মিশ্রণের এক ফোঁ’টা, লাঞ্চের আগে এক ফোঁটা এবং ডিনারের আগে দু-তিন ফোঁ’টা খেয়ে ফে’লুন। চমকে উঠবেন এর রেজাল্ট দেখে।
কিভাবে টেস্টটিউব বেবি হয় জানেন ? অবশ্যই জেনে রাখুন এই বিষয়টি, প্রত্যেকের জেনে রাখা দরকার
প্রতিটা নারীই মা হতে চান। একজন নারীর তার স্বামীর কাছে সব থেকে বড় চাওয়া হল একটি শিশু। একটি শিশু দুজনের সম্পর্কটাকে আরও শক্ত ও মজবুত করে তোলে। কিন্তু সবার ভাগ্য সমান হয় না, একজন নারী কিংবা পুরুষের শারিরীক সম’স্যার জন্য সেই সৌভাগ্য থেকে অনেক দম্পতিই ব’ঞ্চিত হয়।এই সমস্যাকেই আমরা ব’ন্ধ্যাত্ব বলে থাকি। আর টেস্টটিউব বেবি হচ্ছে বন্ধ্য’ত্বের চিকি’ৎসায় সর্বজনস্বীকৃত একটি পদ্ধতি।
ভারতবর্ষে টেস্টটিউব বেবি এখন আর কোন কল্পনার বিষয় নয়। উল্লেখ্য, পৃথিবীর ইতিহাসে প্রথম টেস্টটিউব বেবি ‘লুইস জয় ব্রাউনে’র জন্ম হয় ১৯৭৮ সালের ২৫শে জুলাই ইংল্যান্ডে। আর ঠিক কিছুদিন পরেই বিশ্বের দ্বিতীয় এবং ভারতবর্ষের প্রথম টেস্টটিউব বেবির জন্ম হয় ৩রা অক্টোবর কলকাতায়। তার নাম ছিল কানুপ্রিয় আগরওয়াল ওরফে ‘দূর্গা’
প্রায় চল্লিশ বছর আগে ডা’ক্তার সুভাষ মুখোপাধ্যায়ের হাতে জ’ন্ম হয় দেশের প্রথম টেস্ট’টিউব বেবি দূর্গা, আর জ’ন্মের সঙ্গে এই শহর কলকাতায়ই বড় হয়ে ওঠা তার। কিন্তু ভারতের প্রথম টেস্টটিউব বেবির সফল জন্মের পরেও তার স্বীকৃতি পাননি ডা’ক্তার বা সেই টেস্টটিউব বেবি নিজেও। আর এখন প্রায় চল্লিশ বছর পর অবশেষে স্বীকৃত আর সম্মান দুই পেয়ে ভারতের প্রথম টেস্টটিউব বেবি হিসাবে ‘স্রষ্টা’ তার নাম করেছে।
টেস্টটিউব বেবি নিয়ে আমাদের অনেকের মনেই রয়েছে নানা রকম কু’সংস্কা’র ও ভুল ধারণা। ‘টেস্টটিউব বেবি’ – এই শব্দগুলো থেকেই অনেকের মনে ভু’ল ধারণার জ’ন্ম হয়েছে। এই কারণে অনেকেই মনে করেন টেস্টটিউব বেবির জন্ম হয় টেস্টটিউবের মধ্যে। আবার কেউ কেউ মনে করেন টেস্টটিউব বেবি কৃত্রিম উপায়ে জ’ন্ম দেওয়া কোন শিশু। কাজেই কৃ’ত্রিম উপায়ে এভাবে সন্তান লাভে ধ’র্মীয় বা’ধা থাকতে পারে। কিন্তু টেস্টটিউব বেবির বিষয়টি মোটেই তা নয়।
টেস্টটিউব বেবি হচ্ছে বন্ধ্য’ত্বের চিকিৎসায় সর্বজনস্বীকৃত একটি পদ্ধতি। এই পদ্ধতিরও বিভিন্ন কৌশল রয়েছে। এই কৌশলের একটি হচ্ছে আইভিএফ। ইন ভিট্রো ফার্টিলাইজেশন পদ্ধতিকে সংক্ষেপে বলা হয় আইভিএফ। এই পদ্ধতিতে স্ত্রীর পরিণত ডি’ম্বাণু ল্যাপারেস্কোপিক পদ্ধতিতে অত্যন্ত সন্তর্পণে বের করে আনা হয়। তারপর সেটিকে প্রক্রিয়াজাতকরণের পর ল্যাবে সং’রক্ষণ করা হয়।
একই সময়ে স্বামীর অসংখ্য শু’ক্রাণু সংগ্রহ করে তা থেকে ল্যাবে বিশেষ প্রক্রিয়াজাতকরণের মাধ্যমে বেছে নেওয়া হয় সবচেয়ে ভালো জাতের একঝাঁক শুক্রা’ণু। তারপর অসংখ্য সজীব ও অতি ক্রিয়াশীল শুক্রাণুকে ছেড়ে দেওয়া হয় নিষিক্তকরণের লক্ষ্যে রাখা ডিম্বাণুর পেট্রিডিশে। ডিম্বাণু ও শুক্রাণুর এই পেট্রিডিশটিকে তারপর সংরক্ষণ করা হয় মা’তৃগ’র্ভের পরিবেশ অনুরূপ একটি ইনকিউবিটরে।
ইনকিউবিটরের মধ্যে ২৪ থেকে ৪৮ ঘণ্টা পর্যবেক্ষণের পরই বোঝা যায় নিষিক্তকরণের পর ভ্রূণ সৃষ্টির সফলতা সম্পর্কে। ভ্রূণ সৃষ্টির পর সেটিকে একটি বিশেষ নলের মাধ্যমে জ’রায়ুতে সংস্থাপনের জন্য পাঠানো হয়। জরায়ুতে ভ্রূণ সংস্থাপন সম্পন্ন হওয়ার পরই তা চূড়া’ন্তভাবে বিকাশ লাভের জন্য এগিয়ে যেতে থাকে এবং সেখান থেকেই জন্ম’ নেয়। কোন টেস্টটিউবে এই শিশু বেড়ে ওঠে না।
স্বাভাবিক জন্ম নেওয়া প্রক্রিয়ায় জন্ম নেওয়া শিশুর পুরোটাই সম্পন্ন হয় মায়ের ডিম্বনালি ও জরায়ুতে। আর টেস্টটিউব বেবির ক্ষেত্রে স্ত্রীর ডিম্বাণু ও স্বামীর শুক্রাণু সংগ্রহ করে সেটি একটি বিশেষ পাত্রে রেখে বিশেষ যন্ত্রের মধ্যে সংরক্ষণ করা হয় নি’ষিক্তকরণের জন্য।
নিষিক্তকরণের পর সৃষ্ট ভ্রূণকে স্ত্রীর জ’রায়ুতে সংস্থাপন করা হয়। পুরো প্রক্রিয়ায় সময় লাগে ২৪ থেকে ৪৮ ঘণ্টা। সূচনার এই সময়টুকু ছাড়া বাকি সময়টাতে শিশু একদম স্বাভাবিক গ’র্ভাবস্থার মতোই মাতৃগর্ভে বেড়ে ওঠে। একজন স্বাভাবিক গ’র্ভধারিণীর জ’রায়ুতে বেড়ে ওঠা শিশুর জীবন প্রণালির স’ঙ্গে টেস্টটিউব বেবির জীবন প্রণালির কোন পার্থক্য নেই। এ নিয়ে অনাবশ্যক আগ্রহ সৃষ্টিরও কোন সুযোগ নেই। রো’গী রো’গের চিকিৎসা করাবেন, এটাই স্বাভাবিক।
সুতরাং যারা ভাবছেন টেষ্টটিউব বেবি মানেই কৃত্তিম শিশু। টেষ্টটিউবেই জ’ন্ম হয় তাদের। তারা নিজেরদের ধারনা পা’ল্টে ফে’লুন, আর যারা সন্তানের মুখ দেখতে পারছেন না তাদের সাহায্য করুন বাবা কিংবা মা হতে