বিয়ের আগে স’হবাস! আম’রা যতই আধুনিক হই না কেন, এখনো লিভ ইন রিলেশনশিপ শুনলেই চোখ কপালে উঠে যায় অনেকেরই। এবার সেই লিভ ইন রিলেশনশিপ নিয়েই ‘জি বাংলা সিনেমা অরিজিনালস’-
এ সুদেষ্ণা রায় ও অ’ভিজিত গু’হর নতুন ছবি ‘চলো লেটস লিভ।’ ছবির মুখ্যচরিত্র রাহীর ভূমিকায় দেখা যাব’ে সায়নী ঘোষকে। লিভ ইন রিলেশনশিপকে ঠিক কীভাবে দেখা হয় এই মধ্যবিত্ত বাঙালি সমাজে, তাই উঠে এসেছে চিত্রনাট্যে।
আম’রা যতই আধুনিক হই না কেন, যদি আমা’দের বাবা-মাকে গিয়ে বলি একটি ছেলের স’’ঙ্গে আমি লিভ ইন ক’রতে চাই, কাপালে ভাঁজ পড়বেই। কিন্তু বিয়ে করা আর লিভ ইনের মধ্যে খুব একটা পার্থক্য আমি দেখি না, কারণ দুটোই তো সেই একস’’ঙ্গে থাকা। যার স’’ঙ্গে আমি সারাজীবন থাকার কথা ভাবছি, তাকে ভালো করে জে’নে নেয়া বা বুঝে নেয়াটা খুব জ’রুরি। এই ছবির চিত্রনাট্যেও সে রকমই একটা সম্প’র্ক তুলে আনা হয়েছে।
এবং তার ফলে কী কী ঘটছে তাদের জীবনে, তা নিয়েই এগিয়েছে গল্প। রাহী মফস্বলের মে’য়ে। তার বয়ফ্রেন্ড অর্জুন। দু’জনে বিয়ে ক’রতে চায়। কিন্তু বিয়ের আগে রাহী অর্জুনকে লিভ ইনের প’রামর’্শ দেয়।মফস্বলে থাকে বলে যে লিভ ইন শুনলে চ’মকে উঠবে, এমন মে’য়ে কিন্তু নয় রাহী। এখানে অর্জুনের থেকেও লিভ ইন-এর ইচ্ছেটা যেন রাহীরই বেশি। লিভ ইনটা একটা সাধারণ সম্প’র্ক বলেই মনে করে সে। লিভ ইন মানেই যে গদগদ প্রেম, এ রকমটা কিন্তু নয়।
সায়নী ঘোষ এর আগে ‘একলা চলো’, ‘আবার একলা চলো’- তে অ’ভিনয় করেছে। যেখানে সি’ঙ্গেল মা’দারহুডের মতো বি’ষয়ে কাজ করা হয়েছে। সবসময়ই নতুন বি’ষয়বস্তু নিয়ে এক্সপেরিমেন্ট ক’রতে দেখা যায় রানাদা, সুদেষ্ণাদিকে। যেটা খুবই ভালো।
কিন্তু বাংলা ছবিতে এখনো মনে হয় গল্প নিয়ে এতটা এক্সপেরিমেন্ট এখনো খুব একটা করা হয় না। সায়নী কাছে বিয়ে করা আর ঘর করা একই। আর এখন পতি পরমেশ্বর কনসেপ্টটা পুরো চেঞ্জ হয়ে গেছে। যার স’’ঙ্গে সারাজীবন থাকার প’রিকল্পনা করছি,
তাকে যদি আগে থেকে জে’নে নেয়া যায় তাহলে ক্ষ’তি কী। কারণ বিয়ের পর যদি মনে হয়, তাহলে সেটা একদম শেষপর্যায় হয়ে যায়। তাই আগেভাগে জে’নে নেয়াতে কোন আপ’ত্তি নেই। বিশেষ করে আমা’র মতো যারা নিজেকে নিয়ে আপ্লুত, তাদের তো আরো দেখে নেয়া উচিত।
যার স’’ঙ্গে আমি সারাজীবন থাকার কথা ভাবছি, তাকে ভালো করে জে’নে নেয়া বা বুঝে নেয়াটা খুব জ’রুরি। এই ছবির চিত্রনাট্যেও সে রকমই একটা সম্প’র্ক তুলে আনা হয়েছে। কারণ বিয়ে শুধুমাত্র একটা ইনস্টিটিউশন, এর বাইরে বিয়ে আর লিভ ইনের মধ্যে কোনো পার্থক্য আমি দেখি না।