বোনকে ইউপিএসসি পড়ানোর জন্য লাখ টাকার কোচিং ছাড়লেন ভাই, একসাথে ঘরে পড়াশোনা করে আজ দুজনে আইএএস

ইউপিএসসি পরীক্ষা দেওয়ার জন্য লক্ষ লক্ষ পরীক্ষার্থী সারিবদ্ধ হয়েছেন তবে তাদের মধ্যে খুব কমই সফল হয়েছেন। সিভিল সার্ভিস পরীক্ষার জন্য অনেক লোক তাদের ভালো চাকরি এবং ব্যবসার ছেড়ে পরীক্ষার প্রস্তুতি শুরু করেছিলেন। চিকিৎসক, প্রকৌশলী এবং অনেক ভালো পেশাদাররা এই পরীক্ষা দেন।

তাদের মধ্যে একটি মেয়ে আরটিকা শুক্লা জেনে এমবিবিএস এবং এমডি করার পরে সিভিল সার্ভিসে যাওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছিলেন এবং সফল হন। তার সম্পর্কে বিশেষ বিষয়টি হলো এই পরীক্ষায় সফলতার জন্য 14 বা 16 ঘন্টা অধ্যয়ন করার পরিবর্তে তিনি তার কৌশলটি অধ্যায়ন করেছিলেন এবং প্রশিক্ষণ ছাড়াই এই পরীক্ষায় উত্তীর্ণ হয়েছিলেন।

আজ আমরা জানবো কিভাবে আরটিকা চিকিৎসক থেকে আইএএস অফিসার পদে পৌঁছালেন। ইউ পি এস সি পরীক্ষায় তার সাফল্যের কিছু গোপন টিপস আমরা জানবো। আই ইয়েস আরটিকা শুক্লা প্রথম থেকেই পড়াশোনাতে খুব ভালো ছিলেন তিনি কাশির বাসিন্দা।পড়াশোনায় তিনি সর্বদা শীর্ষে থাকতেন এবং স্কুল থেকে কলেজ প্রতিটা শ্রেণীতেই তিনি শীর্ষস্থান লাভ করতেন।

তবে আরটিকা শুক্লা বিশ্বাস করেন যে আপনি যত ভালো ছাত্র হোন না কেন ইউপিএসসি পরীক্ষা সব পরীক্ষা থেকে সবচেয়ে কঠিন এবং এ পরীক্ষার জন্য প্রস্তুতি নেওয়ার সময় আপনি বুঝতে পারবেন সম্পূর্ণটাই আপনাকে নতুন ভাবে শিখতে হবে এবং আপনাকে শুরু থেকেই প্রস্তুতি নিতে হবে।

আইএসআরটি কাপড়ের দিল্লিতে পড়াশোনার জন্য গিয়েছিলেন। তার পিতা বৃজেশ শুক্লা যিনি একজন চিকিৎসক এবং তার মা লিনা শুক্লা যিনি একজন গৃহকর্মী এবং তার দুই বড় ভাই গৌরব শুক্লা এবং উৎকর্ষ শুক্লা রয়েছেন।

আপনাদের জানিয়ে রাখি আরটিকা দুই বড় ভাইও ইউ পি এস সি পরীক্ষায় উত্তীর্ণ হয়েছেন।তার বড় ভাই গৌরব একজন আইএএস অফিসার ট্রেনিং 2012 সালের পিএসসি পরীক্ষায় উত্তীর্ণ হয়েছিলেন এবং তার দ্বিতীয় ভাই উৎকর্ষ ইউপিএসসি পরীক্ষায় উত্তীর্ণ হয়েছে এবং আইএএস অফিসার। আরতি কা যখন স্কুলে পড়াশোনা করতেন তিনি সর্বদা স্কুলে শীর্ষ তালিকায় থাকতেন তার পরে তিনি মৌলানা আজাদ মেডিকেল কলেজ থেকে এমবিবিএস করেন।

তিনি এমডির জন্য নির্বাচিত হয়েছিলেন এবং যখন সে এমডি করছিল তখন তার বড় ভাই তাকে ইউপিএসসি পরীক্ষা দেওয়ার জন্য পরামর্শ দিয়েছিলেন। তারপরে তিনি মাঝপথে এমডি কোর্স থামিয়ে ইউপিএস এর জন্য প্রস্তুতি শুরু করেন তিনি এর জন্য কোন কোচিং দেননি তবে তার পড়াশোনাতে তার ভাইয়েরা তাকে অনেক সহায়তা করেছিলেন।

প্রথম প্রয়াসেই আরটিকা 2014 সালে এ আই আর আই তে চতুর্থ ব্যাংক অর্থাৎ অল ইন্ডিয়া রেঙ্ক থেকে নির্বাচিত হয়েছিল। আরো জানা যায় যে তিনি আলাদা কোনো টিউশন নেয়নি। প্রি এবং মেইনের জন্য আরটিকা একসাথে প্রস্তুতি নিতে শুরু করেছিল এবং মেইনএক্সামের জন্য আরটিকা একই ভাবে পড়াশোনা করেছিল যেমন প্রাক পরীক্ষার জন্য তিন ঘন্টা করে পড়াশোনা করতেন।

এসআরসি এবং অর্থনৈতিক জরিপ খুব গুরুত্বপূর্ণ বিষয়। বেসিক টি শক্তিশালী করার জন্য এনসিইআরটি বই গুলি পড়তে হবে এবং ভালো নম্বর পাওয়ার জন্য স্থান এবং উপগ্রহের প্রধান বিষয় গুলির গেম থাকা দরকার। পরামর্শটি অনুকরণ করুনঃ এই পরীক্ষাটি আপনার জ্ঞানের চেয়ে ব্যক্তিত্ব চেয়ে বেশি দিয়ো সংকল্পের একটি পরীক্ষা।

কোন মেইন ব্যাপার যদি ভালো না হয় তবে তা ভুলে গিয়ে পরবর্তী পেপারের কঠোর পরিশ্রম করুন তিনি বলেন যে সাক্ষাৎকারে আত্মবিশ্বাসী হওয়া খুবই জরুরী। যদি আপনি কোন উত্তর জিজ্ঞাসা না করে থাকেন তবে দয়া করে চিন্তা না করে শান্ত থাকুন। সাক্ষাৎকারে এটি আপনার জ্ঞান পরীক্ষা নয় আপনার ব্যক্তিত্বের পরীক্ষা তারা জানেন যে আপনি গানের পরীক্ষা দিয়েই সাক্ষাৎকারে পৌঁছেছেন তারপর ব্যক্তিত্ব বিকাশ করুন। আপনি চাইলে কিছু মক ইন্টারভিউ দিতে পারেন।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *