মুছে ফেলুন বয়সের ছাপ!

বয়স বাড়ার সাথে সাথে স্বাভাবিকভাবেই মানুষের শরীরের রংও বদলাতে শুরু করে। অনেকের ক্ষেত্রে আবার অস্বাভাবিকভাবে অসময়েই শরীরে বয়সের ছাপ দেখা যায়। স্বাভাবিক ও অস্বাভাবিক কোনোভাবেই বয়সের ছাপ মানুষ সহজভাবে মেনে নিতে পারেন না। তাই সবাই চেষ্টা করেন শরীর থেকে বয়সের ছাপ মুছে ফেলতে। তবে অনেকেই জানেন না শরীরের কোন অঙ্গগুলোর মাধ্যমে শরীরের বয়সের ছাপ ফুটে উঠে। সেগুলোর একটু যত্নআত্তি করলেই বয়সের ছাপ লুকিয়ে নিজের চির তারুণ্য ফুটিয়ে তুলতে পারেন।
মুখ
হাতের ওপর দিয়ে যত ঝড় যায়, মুখের ওপরে হয়তো ততটা যায় না। কিন্তু মুখের ত্বকের যতই যত্ন করা হোক না কেন, একটা সময়ে মুখে পড়তে শুরু করে বয়সের ছাপ। বিশেষ করে ছোপ ছোপ দাগ আর ছোট ছোট স্পট অনেকের ত্বকেই দেখা যায়। এক্ষেত্রে কি করা যেতে পারে? ত্বক উজ্জ্বল করে এমন কোনো ক্রিম বা ফেসপ্যাক রাখতে পারেন আপনার নিত্য ব্যবহার্য স্কিনকেয়ার প্রোডাক্টের মাঝে। এছাড়া ত্বকের জন্য ভালো এমন খাবারও আপনার উপকারে আসবে। অদ্ভুত একটা ব্যাপার হলো, আপনি যত শুকনো শরীরের অধিকারী হবেন, আপনার ত্বকে ভাঁজ এবং কুঞ্চন পড়বে তত বেশি।

হাত
সব সময়েই উন্মুক্ত থাকে হাত এবং হাতের চামড়া। সব রকম কাজেই হয় হাতের ব্যবহার। এ কারণে হাতের ওপর দিয়েই সবচাইতে বেশি ঝড়-ঝাপটা যায়। বিশেষ করে রোদ লেগে বেশি ক্ষয়ক্ষতি হয় হাতের। মুখের ত্বকের মত এত যত্ন নেয়া হয় না হাতের। কিন্তু বয়সের প্রকাশ কমিয়ে দেবার জন্য মুখের মত হাতেও সানস্ক্রিন লোশন ব্যবহার করা উচিত। শুধু তাই নয়, হাতের ত্বকের স্বাভাবিক আর্দ্রতা বজায় রাখার জন্য ময়েশ্চারাইজিং ক্রিম ব্যবহার করা উচিত, বিশেষ করে রাতের বেলায়। হাতে বয়সের ছাপ পড়া শুরু করতে পারে বয়স বিশের কোঠায় থাকা অবস্থাতেই। এ কারণে এ ঘটনা ঘটার আগেই হাতের যত্ন নেওয়া শুরু করুন।

চোখের পাতা
বয়স বারার সাথে সাথে চোখের পাতা প্রসারিত হতে থাকে এবং চোখের পাতা ধরে রাখার পেশি দুর্বল হতে থাকে। এ থেকে চোখের পাতার ওপরে এবং নিচে জমে উঠতে পারে অনাকাঙ্ক্ষিত মেদ। সার্জারি ছাড়া এই সমস্যার আসলে তেমন কোনো সমাধান নেই। তবে এমন কিছু কাজ আছে যা করতে পারলে চোখের আশেপাশে এমন মেদ জমা কিছুটা হলেও প্রতিরোধ করা যেতে পারে। পানি পান করুন যথেষ্ট পরিমাণে, ভালো করে ঘুমান এবং লবণ খান পরিমিত।

ঘাড়
ঘাড়ের ত্বক হয়ে থাকে মুখের ত্বকের চাইতে পাতলা। এ কারণে অনেক সময়েই দেখা যায় মুখের চাইতে ঘাড়ের ত্বকে আগে ভাঁজ পড়ে যায়। এই ভাঁজ দেখতে বেশ দৃষ্টিকটু হয়ে থাকে। ঘাড়ের ত্বক খারাপ হবার আগেই এর যত্ন নেওয়া শুরু করতে হবে। মুখে যে ধরনের ক্রিম এবং ফেসপ্যাক ব্যবহার করেন, ঘাড়েও ঠিক সেভাবেই যত্ন নিতে হবে। আর ঘাড়ের ত্বক যদি খারাপ হয়েই যায়, তবে ব্যবহার করতে পারেন সুন্দর একটি স্কার্ফ।

কনুই
কনুই অনেকে এই ব্যাপারটা খেয়াল করেন না, কিন্তু বয়স বারার সাথে সাথে কনুই এর আশেপাশের ত্বক ভাঁজ হয় যায়। এর প্রতিরোধের জন্য ভালো কোনো ময়েশ্চারাইজার ব্যবহার করা যেতে পারে। অথবা ফুল-হাতা পোশাক পরার অভ্যাস করতে পারেন। এর জন্য দায়ী হলো রোদ, স্ট্রেস, ধূমপান, কম পানি খাওয়া এবং বয়সের সাথে ঘর্মগ্রন্থি এবং তৈলগ্রন্থি কমে যাওয়া।

চুল
বয়সের সাথে কি চুল শুধুই সাদা হয়ে যায়? না। বরং চুল হয়ে যায় পাতলা, চুলের কাঠামোতেও আসে পরিবর্তন। চুল হয়ে ওঠে শুষ্ক এবং ভঙ্গুর। এ পরিস্থিতি এড়াতে চুলে তেল ব্যবহার করা যেতে পারে। এছাড়া বিভিন প্রোটিন ট্রিটমেন্টও ভালো কাজে লাগে।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *