গল্পঃ আজ আমি যেই বাড়িতে বউ হয়ে যাচ্ছি সেই বাড়িতেই আমার ভালোবাসার মানুষের বসবাস। যাকে আমি নিজের চেয়ে ও বেশি ভালোবাসি যার সাথে আমার দীর্ঘ চার বছরের সম্পর্ক ছিল সে আজ সম্পর্কে আমার দেবর হতে যাচ্ছে আর আমি তার ভাবি। আমার নাম প্রীতি।
আর আমার ভালোবাসার মানুষের মানে আমার দেবরের নাম রোহান। বউ সেজে বসে আছি। আশেপাশে সবাই বলছে আমাকে নাকি একদম পরীর মতো লাগছে আর আমার বর মানে রোহান এর বড় ভাই রাহাত নাকি আজকের চোখ সরাতে পারবে না আমার থেকে।
আশেপাশের কথাগুলো শুনে মনে হচ্ছে আমি হয়তো কোনো শো পিচ যা দেখে সৌন্দর্যমন্ডিত হবে রাহাত। বর বর আসছে বলে সবাই আমাকে রুমে রেখে নিচে চলে গেল বর কে বরণ করতে। কিন্তু আমার বেস্ট ফ্রেন্ড টা মানে নিহা আমার পাশেই বসে রইল। নিহার ডাকে আমি নিহার দিকে ফিরে তাকালাম। দেখলাম ওর চোখ জলে ভরে আছে।
কারণ ও তো আমার ভালোবাসা আমার ক’ষ্ট আমার এই দীর্ঘ চার বছরের সম্পর্কে আমার আর রোহান প্রতিটা মুহূর্তের সাক্ষী। আজ পর্যন্ত ওর কাছে কিছু লু’কায় নি।
আমি ওর দিকে তাকিয়ে জিজ্ঞেস করলাম কাঁ’দছিস কেন? -রোহান কেন এমন করল প্রীতি? তুই কিভাবে থাকবি ওকে ছাড়া? ও কি জানে না তুই ওকে কতটা ভালোবাসিস? -জানে রে।
আর ও তো আমাকে খুব ভালোবাসে। আর আমি কি ওকে ছাড়া থাকব নাকি?আমি তো ওর সাথে একি বাড়ি তে থাকব ওর ভাবি হয়ে। কথাটা বলে আর নিজেকে নিজের চোখের পানি কে আটকে রাখতে পারলাম না নিহা কে জরিয়ে ধরে কান্না করতে লাগলাম। ও একদিন অনেক পচতাবে দেখিস।
ও অনেক কষ্ট পাবে তোকে ছাড়া তুই দেখে নিস কথাটা বলে কান্না করতে লাগল নিহা। সবার আসার আওয়াজে নিহা কে ছেড়ে চোখের জল মুছে স্বাভাবিক হলাম আমি।
সবাই এসে আমাকে ধরে নিচে নিয়ে গেল আর আমাকে আমার বর মানে রাহাত এর সাথে বসানো হল। আমার চোখ দুটো আটকে গেল একজন কে দেখে। সেই একজন টা আমার ভালোবাসার মানুষ রোহান। রোহান একবার ও আমার দিকে তাকালো না। সবার সাথে হাসি মুখে কথা বলছে। আচ্ছা ওর কি কষ্ট হচ্ছে না আমাকে বউ সাজে দেখে?ওর কি কষ্ট হচ্ছে না আমাকে আজকে অন্য করে হতে দেখতে,,,?
ওর বুক টা কি একটু ও কাঁ’পছে না আমাকে ওর ভাই এর বউ হতে দেখতে? কত স্বপ্ন ছিল আমাদের এই দিনটা নিয়ে। কত স্বপ্ন ছিল লাল বেনারসি পরে তোমার বউ সাজার কেন এমন করলা রোহান কেন এমন করলা?
মনে মনে বিয়ের সব কার্য সম্পন্ন হলো। আজ থেকে রোহান আর আমার নতুন সম্পর্ক হলো ভাবি আর দেবরের সম্পর্ক চলবে গল্পের নামঃদূরত্ব পর্বঃ ১ দ্বিতীয় পর্বের জন্য আমাদের পেজটি ফলো করে রাখুন!