জন্ম নেওয়া একটি মেয়ে শিশু তার পরিবার ও বাবা-মা’র কাছে খুবই গু’রুত্বপূর্ণ। যখন সে আস্তে আস্তে বড় হয় তখন বাবা-মা তাকে দায়িত্বশীল নারী হয়ে গড়ে উঠতে সাহায্য করেন। পরিবারে কখনো সে দায়িত্বশীল মেয়ে, কখনো নারী, কখনো প্রেমিকা, স্ত্রী, কখনোবা মা।এই পরিবর্ততের সময় একজন নারীর জীবনে অনেক কিছুই ঘটে। তবে জীবনের সাতটি মুহূর্ত সে কখনই ভুলে না।তেমনইকিছু মুহূর্ত হলো— ভালোবাসার মুহূর্তে একটি মেয়ে সবসময়ই চায় তার ভালোবাসার মানুষটি বাবার অনুরূপ হোক। যখন মেয়েটি দেখে ছেলেটির
সব কিছু তার বাবার মতো তখন সে তার প্রেমে পড়ে যায়। আর ওই মুহূর্তই একটা মেয়ের জীবনে স্মর’ণীয়। তার সমস্ত স্বপ্নজুড়ে থাকে ‘রাজকুমা’রটি’।যেদিন প্রথম প্রস্তাব পায় একটি মেয়ে স্বাভাবিকভাবে যখন নারী হয়ে উঠে তখন তার স্বপ্ন দেখা শুরু হয় এক রাজকুমা’রকে
ঘিরে। আর সেই রাজকুমা’রই যখন তাকে প্রথম ভালোবাসার কথা বলে সেই মুহূর্তটিই তার জীবনে স্মর’ণীয়। এটা তার জীবনে একটি গু’রুত্বপূর্ণ সময়। কর্মজীবনে অগ্রগতির মুহূর্তে বাবা-মা মেয়েকে পড়াশোনা করিয়ে বড় করে তার সাফল্য দেখার আশায়। মেয়ের স্বাধীনতা ও আ’ত্মনির্ভরশীলতা দেখে বাবা-মা খুশি হন। তাদের লক্ষ্য অর্জন করতে পেরে মেয়েও অনেক আনন্দিত হয়। বিয়ের মুহূর্তটি চারদিকে বিয়ের সানাই বাজছে। হৃদয়ের একটা অংশকে অন্যের হাতে তুলে দিয়ে চোখের পানি ফেলছেন বাবা-মা।
কিন্তু একটি মেয়ে সবসময়ই সুখী ও নিরাপদ জীবন চায় তার স্বামীর কাছে। একটি মেয়ে নতুন পরিবার ও নতুন পরিবেশে প্রবেশ করতে যাচ্ছে সেটি তার জীবনে সবচেয়ে শ্রেষ্ঠ সময়।প্রথম মা হওয়ার মুহূর্তটি গ’র্ভধারণ করা দশ মাস একটি মেয়ের জীবনে স্মর’ণীয় মাস। শিশুর জন্মের পর সে দ্বিতীয় জীবন পায়। এটাই তার জীবনে অবিস্মর’ণীয় একটি দিন। তখন থেকেই তার চিন্তা শুরু হয় কিভাবে তার সন্তানকে সকল প্রতিকূলতা থেকে দূরে রাখবে।প্রথম মা ডাক একজন নারীর জীবনে সবচেয়ে স্মর’ণীয় একটি দিন। একজন নারী এই দিনটির জন্যই অ’পেক্ষায় থাকেন। তার কোলজুড়ে সন্তান আসবে। আর
সে তাকে মা বলে ডাকবে। আরো জানুন নাম আমা’র ভুতু” কে এই ভুতু? পারিবারিক ড্রামা, ত্রিভুজ প্রেমের বাইরে অন্য এক গল্প, যেখানেমূল চরিত্র পাঁচ বছরের একটি মেয়ে। প্রচার শুরুর পর থেকেই হিট জি বাংলার সিরিয়াল ‘ভুতু’। নাম ভূমিকায় অ’ভিনয় করা আর্শিয়া মুখোপাধ্যায় ও সিরিয়াল নিয়ে লিখেছেন আনিকা জীনাত। একরত্তি মেয়ে, তা-ও আবার ভূ’ত। সে-ই কিনা সবাইকে হারিয়ে দিচ্ছে! এ বছরের মা’র্চের মাঝামাঝি জি বাংলায় সিরিয়াল ‘ভুতু’ শুরু হয়েছিল বড় কোনো প্রত্যাশা ছাড়াই।
পারিবারিক কলহের বাইরে দর্শকদের অন্য কিছুর স্বাদ দেবেন—এই ছিল লেখক-পরিচালকের উদ্দেশ্য। মাস দুয়েকের মধ্যে সেটাই কিনা হয়ে উঠল সবচেয়ে জনপ্রিয় টিভি সিরিয়ালগু’লোর একটি।
১৪ জুন ‘ভুতু’র প্রচার শুরু হওয়ার পর থেকেই একই সময় প্রচার হওয়া স্টার জলসার সিরিয়াল ‘মিলনতিথি’র দর্শক কমতির দিকে। কিন্তু কী আছে এতে? কে-ই বা ভুতু? জানতে হলে একটু পেছনে যেতে হয়।
কিছুদিন আগে ‘পটলকুমা’র গানওয়ালা’ সিরিয়ালে ছোট একটা চরিত্রে কাজ করেছিল আর্শিয়া। মাত্র কিছুক্ষণের উপস্থিতি।কিন্তু নিজের দুষ্টুমি, সাবলীল অ’ভিনয় দিয়ে সেটের সবার মন কাড়ে সে। চিত্রনাট্যকার সাহানা তখনই ঠিক করেন,
আর্শিয়াকে মূল চরিত্রে রেখে একটি সিরিয়াল করবেন। ব্যস,হয়ে গেল ‘ভুতু’। গল্পে ‘ভুতু’ মর’ে গেছে, কিন্তু এটা সে জানে না। ভাবে, যখন ঘু’মিয়ে ছিল, তখন বাড়ির সবাই ওকে ফেলে গেছে। এরই মধ্যে ফাঁ’কা বাড়িতে নজর পড়ে দালালদের।
নতুন ভাড়াটে আসে। ঘটে নানা মজার ঘটনা। ‘ভুতু’ আর্শিয়া এর মধ্যেই ব্যাপক জনপ্রিয়। হয়ে উঠেছে সবার বাড়ির মেয়ে। তাঁর অবশ্য সেদিকে খেয়াল নেই। এই কয়েক দিন আগেই টেলিসিনে অ্যাওয়ার্ডে স্পেশাল পারফরম্যান্স পুরস্কার জিতেছে আর্শিয়া।
হাসতে হাসতে মঞ্চে গিয়ে পুরস্কার নিয়ে এসেছে। পর্দায় সাবলীল অ’ভিনয় নিয়েই আর্শিয়া নজর কেড়েছে, যা দেখে অ’ভিভূ’ত সিরিয়ালের পরিচালক অনুপম হেরি, ‘এত কম বয়সে এত ভালো এক্সপ্রেশন আশাই করিনি।
ওর চাহনি, হাসি এত স্বাভাবিক, ক্যামেরার সামনে আছে মনেই হয় না।’আর্শিয়া পড়ছে আপার কেজিতে। স্কুলেও যথারীতি তারকাখ্যাতি পেয়েছে, “কেউ তো আর আমাকে নিজের নামে ডাকেই না। সবাই বলে এই যে ‘ভুতু’।” বাবা, মা, বোন আর দাদির স’ঙ্গে থাকে আর্শিয়া।
স্কুল আর শুটিংয়ে দিন কাটছে তার। ফাঁ’ক পেলে প্রিয় অ’ভিনেতা শাহরুখ খানের ছবি দেখতে বসে যায়। সব মিলিয়ে ভালো আছে আর্শিয়া। মুশকিল শুধু একটাই, ওকে ‘ভুতু’ বলো ঠিক আছে, কিন্তু ভুলেও ‘ভূ’ত’ বলা যাব’ে না!