এ সময় ভ্রমণপ্রিয় মানুষেরা নৌ ভ্রমণ ও ভূরিভোজনের আয়োজন করে থাকে। তবে পাবনার চাটমোহরে এসবের আড়ালে চলছে অ’সামাজিক কার্যকলাপ। নৌ ভ্রমণের নামে দৃষ্টিকটু পোশাকে ন’র্তকীদের নাচ এবং
গভীর রাতে নৌকায় চলছে অ’সামাজিক কা’র্যকলাপ।এ খবর কানে গেছে স্থানীয় ইউপি চেয়ারম্যানের। জানেন হান্ডিয়াল পু’লিশ ত’দন্ত কেন্দ্রের ই’নচার্জও।
দিনে-রাতে প্রকাশ্য চলা এ কর্মকাণ্ড বন্ধ করতে আন্তরিকতা দেখা যায়নি পু’লিশসহ উপজে’লা প্রশাসনের। ক্ষু’ব্ধ বিলপাড়ের বাসিন্দারা। সরেজমিনে উপজে’লার হান্ডিয়াল ও নিমাইচড়া বিলে দেখা গেছে,
বেশিরভাগ ভ্রমণের নৌকার সামনে দৃষ্টিকটু পোশাকে নাচছেন ন’র্তকীরা। সিনেমা স্টাইলে তাদের স’ঙ্গ দিচ্ছেন যুবক ও তরুণেরা। ছাউনির ভে’তরেও চলছে নাচ।
সেখানকার পরিবেশটা আরও ল’জ্জাজনক। তবে অন্য একটি নৌকার কাছাকাছি আসতেই নর্তকীরা সামনের অংশে থেকে দ্রু’ত চলে যাচ্ছেন ছাউনির ভে’তরে। খোঁজ নিয়ে জানা গেলো, কথিত এ সব ন’র্তকীরা মূ’লত যৌ’ন’কর্মি। বিভিন্ন জে’লা ও উপজে’লা থেকে এদের মো’টা অংকের টাকা দিয়ে আনা হচ্ছে।
অ’ভিযোগ আছে, দিনে নাচের মাধ্যমে ‘আ’নন্দ’ দিলেও রাতে ঘটছে অসামাজিক কার্যকলাপ। একাধিক সূত্র জানিয়েছে, নর্তকী থাকা নৌকা গুলো গভীর বিলে চলে যায় রাতে। রাতভর বিলেই থাকে।
এ ধরণের নৌকা গুলো বেশিরভাগ অংশ কৌশলে পর্দা দিয়ে ঢেকে রাখছেন নৌকার মালিকরা। হান্ডিয়াল ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান কেএম জাকির হোসেন বললেন, আমিও শুনেছি। গ্রাম পু’লিশ দিয়ে টহল দেওয়া হচ্ছে।
ওরা সংখ্যায় বেশি, তাই কিছু করা যায় না। এক বছর আগে চারজন ন’র্ত’কীকে আ’টক করে পু’লিশে দিয়েছিলাম। কিন্তু পরে পিছু হটেছি। হান্ডিয়াল ত’দন্ত কেন্দ্রের ই’নচার্জ আবুল কালাম আজাদ বলেন, দুই দিন আগে দুইজন মেয়েকে আ’টক করে চাটমোহর থানায় হস্তান্তর করেছি।
ভ্রাম্যমাণ আ’দালত চা’লানো হলে বন্ধ হতে পারে এ অসামাজিক কা’র্য’কলাপ। তিনি আরও জানান, পু’লিশ দেখলে মেয়েরা পানিতে ঝাঁপ দেয়। এতে অঘটন ঘটলে সে দায় নেবে কে? উপজে’লা নির্বাহী কর্মকর্তা স’রকার অসীম কুমার বলেন, অসামাজিক কার্যকলাপ রুখতে যথাযথ ব্যবস্থা নেওয়া হবে।